সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো সদস্য ও ত্রিপুরারাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছেন, শুধু মাত্র ভোটের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরায় এসে মিথ্যাচার করে গেলেন। মিথ্যা কথা বলে ত্রিপুরার মানুষকে অসম্মানিত করেছেন। এই অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই। যত মিথ্যা, কুৎসা, রটনা, অপবাদ, চরিত্রহরণ-যাই হোক ত্রিপুরাবাসী প্রস্তুত। কোন শক্তি নেই যে ত্রিপুরার অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার গঠনে প্রতিহত করতে পারে।
গতকাল বৃহস্প্রতিবার রামনগর, ধনপুর, আনন্দপুর ও উষাবাজারে আয়োজিত পৃথক চারটি জনসভায় তিনি এই সব কথা বলেন।
জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আইপিএফটির সঙ্গে আতাত নিয়ে একটি কথাও বললেন না প্রধানমন্ত্রী? যারা ত্রিপুরারাজ্যের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নষ্ট করতে চায়, রাজ্যকে খন্ড-বিখন্ড করতে চায়, তাদের সঙ্গে জোট কেন? প্রশ্ন মানিক সরকারের।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, কি পাল্টাতে চান চান? শান্তি নস্যাৎ করে অশান্তির আগুন জ্বালাবেন? এটাই পাল্টানো? যে পথ পেরিয়ে উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ত্রিপুরা, এটাকে পাল্টাতে চান? রক্তনদীতে ত্রিপুরাকে ডুবিয়ে দিতে চান? এইরকম পাল্টানো ত্রিপুরার মানুষ চায় না। যদি আপনার সততা থাকে, নিষ্ঠা থাকে, ভোটের পরেও জবাব দেবেন।
গুজরাট, রাজস্থান হয়ে সারা দেশে বিজেপির ভিত যে নড়তে শুরু করে দিয়েছে, সেটা প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেন মানিক সরকার। এখন আপনি এসেছেন ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকারের ভীত নাড়াতে? এই ভীত মানুষ তৈরী করেছে বুকের পাজর দিয়ে। এই পাজর কিন্তু ঠুনকো নয়। বড়ো শক্ত। একে নাড়ানো এতো সহজ হবে না।
জনসভা গুলিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বামফ্রন্ট প্রার্থী সহিদ চৌধুরী, প্রার্থী ঝুমু সরকার, প্রার্থী রতন দাস, সুরেশ দাস, মানিক দাসগুপ্ত, শামসুল হক, রামচন্দ্র নোয়াতিয়া, রুদ্রপাল, শুভা মিযা, মধুসুদন দেববর্মা, মানিক দাস, শুভা গাঙ্গুলী, ঝলক মুখার্জি বিক্রমমণি দেববর্মা, রামবাহাদুর জমাতিয়া, কুরবান আলী, গৌরী ভট্টাচার্য, জলিল মিয়া, হরেন্দ্র দাস, ড. ইলা লোধ, মণীন্দ্র দেববর্মা প্রমুখ।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com