পুরুষ সেজে দুই মহিলাকে বিয়ে করার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ভারতের উত্তরাখণ্ডের পুলিশ। তাদের অভিযোগ, ওই দুই মহিলার একজনের উপরে যৌতুকের জন্য অত্যাচারও করেছে অভিযুক্ত কৃষ্ণ সেন ওরফে সুইটি সেন।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ধমপুরের বাসিন্দা সুইটি ‘কৃষ্ণ সেন’ নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে মেয়েদের সঙ্গে ভাব জমাতেন। তার পর তাদের বিয়েও করতেন।
তার প্রথম ‘স্ত্রী’ হলদোয়ানির কাঠগোদাম এলাকার বাসিন্দা। ২০১৪ সালে তার সঙ্গে দেখা করতে কাঠগোদাম আসে সে। সুইটি তাকে জানায়, সে আলিগড়ের এক সিএফএল বাল্ব ব্যবসায়ীর ছেলে। ওই মহিলার পরিবারের কাছ থেকে সাড়ে আট লক্ষ রুপি যৌতুক নেয় সে। পরে আবার তাকে যৌতুকের জন্য মারধরও করে।
এর মধ্যেই আবার কালাধুঙ্গির এক মহিলার সঙ্গে ভাব জমায় সুইটি। তিনি আবার তার প্রথম বিয়েতে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন। পরে তাকেও বিয়ে করে সুইটি। হলদোয়ানির তিকোনিয়া এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানেই দুই ‘স্ত্রী’-র সঙ্গে থাকতেন তিনি।
দুই মহিলাই বুঝতে পারেন, সে পুরুষ নয়। দ্বিতীয় জনকে টাকার লোভ দেখিয়ে চুপ করাতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু তার ‘প্রথম স্ত্রী’ হলদোয়ানি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তার পরই গ্রেফতার হন সুইটি।
মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা গেছে, সুইটি নারীই। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তার ছেলেদের মতো হাবভাব ছিল। পুরুষ সাজার জন্য চুল কেটেও ফেলেছিলেন। মোটরসাইকেল চালাতেন। সিগারেট খেতেন।
সুইটির পরিবারের সদস্যেরা তার দুই ‘স্ত্রী’-র বাড়িতে আশীর্বাদ ও বিয়ের সময়ে এসেছিল। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সুইটির বিরুদ্ধে প্রথমে যৌতুকের জন্য হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু আইনত সে ‘স্বামী’ই নয়। ফলে এখন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে শান্ত শহর হলদোয়ানিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মনোবিদদের মতে, সুইটির ‘পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’ রয়েছে। কারণ, তিনি নিজের লিঙ্গ স্বীকার করতে রাজি নন। যে ভাবে তিনি দুই স্ত্রী-র উপরে অত্যাচার করেছেন তাতেও মানসিক গোলমালের প্রমাণ মেলে।
সুত্র: নয়াদিগন্ত
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com