একবার বা দু’বার নয়। টানা দু’বছর ধরে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোডা জেলার এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। আর এই খবরেই ফের একবার শিরোনামে দিল্লি।
একজন নয়, দু’জন ব্যক্তি মিলে সেই কিশোরীর ওপর গত দু’বছরে অত্যাচার চালিয়েছে। আপাতত এই পাশবিক অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়ে সেই নাবালিকা দিল্লির বি কে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিই পলাতক।
সেই নাবালিকা জানিয়েছে, দু’বছর আগে তার মা-বাবা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর সেই নাবালিকা এবং তার দুই ভাইকে দেখশোনা করার জন্য তার দাদি তাদের সঙ্গে এসে থাকতে শুরু করেন। আর কিছুদিন পরে মাত্র চার হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে সুরিন্দর নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়।
মেয়েটি ভেবেছিল দিল্লি গিয়ে সে হয়ত কাজ করতে পারবে। কিন্তু মেয়েটিকে দিল্লি আনার পর সুরিন্দরের আসল চরিত্র জানতে পারে সে। দিন-রাত যৌন নির্যাতন করা হয় তাকে। মুখে কাপড় গুঁজে, হাত-পা বেঁধে চলত ধর্ষণ। এরপর সেই মেয়েটিকে একটি পরিবারে কাজের জন্য পাঠায়। মেয়েটি ভেবেছিল, তার দুঃখের দিন হয়ত কেটে গেছে।
কিন্তু তা হয় না। কিছুদিন পর মেয়েটিকে নিজেরই এক বন্ধু মণি মিশ্রর বাড়িতে কাজে পাঠায় সুরিন্দর। আর সেখানেই শুরু হয় নতুন করে অত্যাচার। কেড়ে নেওয়া হয় আগের বাড়িতে কাজ করে পাওয়া ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু এরপর সেই কিশোরী পুলিশকে যা জানায় তা আরও ভয়ঙ্কর।
সে জানায়, ‘মিশ্র নামে সেই ব্যক্তি রান্নাঘরেই আমাকে ধর্ষণ করতে থাকে। আমাকে থাকতেও হত রান্নাঘরের এক কোণে। সেই ব্যক্তির স্ত্রী এবং সন্তানরা রান্নাঘরের বাইরে থাকলেও ধর্ষণ করত মণি। এমনকি চলত পাশবিক অত্যাচার। সুরিন্দরের থেকেও বেশি অত্যাচার করা হত আমাকে।’
এখানেই শেষ নয়, কিশোরীকে সিগারেট দিয়ে ছ্যাঁকাও দেওয়া হত। এরপরই সে পালায়। এরপর দুই যুবক তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আক্রান্তের মুখে এই জবানবন্দি শুনে রীতিমতো শিউরে উঠেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে পলাতক অভিযুক্তদের ধরতে গঠন করা হয়েছে বিশেষ দলও। সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com