সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত বলেছেন, দলবদলকারী, সন্ত্রাসবাদীদের মুখোশ, নীতিহীন, দুর্নীতিগ্রস্থরাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘হীরা’। তিনি এমন নেতা যার মঞ্জে গিয়ে সমস্ত অপরাধীর পাপ ধুয়ে যায় কিন্তু ত্রিপুরায় এমন চলবে না।
শুক্রবার গোলাঘাটি এবং হাপানিয়ায় বামফ্রন্টের দুইটি নির্বাচনী জনসভায় তিনি এই সব কথা বলেন।
ত্রিপুরার প্রচারে এসে ‘মানিক ছেড়ে হীরা’ আনার কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এই প্রসঙ্গ টেনে বৃন্দা কারাত বলেছেন, মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কেমনতর হীরারা বসেছিলেন তা রাজ্যের মানুষ দেখেছেন। এরমধ্যে একজন হীরা অসম থেকে আমদানী হয়েছে। অসমে যার বিরুদ্ধে লুইস বার্জারসহ বহু কেলেঙ্গারিতে অভিযুক্ত। যার সিবিআই তদন্ত চলছে। যাকে দুর্নীতিগ্রস্থ আখ্যা দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি। মোদির হাত ধরে সেই হীরা এখন শুদ্ধ হয়ে গেছেন। আরেক হীরা ছিলেন যিনি উপজাতিদের নামে রাজনীতি করেন। সন্ত্রাসবাদীদের মুখোশ। ত্রিপুরা রাজ্যকে ভাগ করার যিনি দাবী করেন, যিনি বিজেপির থেকে টাকা নিয়েছেন এবং যার দল টুকরো হয়ে গেছে। আরেক বড় হীরা আলিবাবার চল্লিশ চোর, যারা এক পার্টির নামে ভোটে জিতেছিল। ডিগবাজি খেতে খেতে এই দল-সেই দল হয়ে এখন বিজেপিতে। এই দলবদলকারী, সন্ত্রাসবাদী মুখোশ, নীতিহীন, ভ্রষ্টারা হল মোদিজির হীরা। লোকে গঙ্গায় স্নান করে পাপ ধুয়ে ফেলেন আর মোদি এমন নেতা যার মঞ্চে যেতে পারলে সমস্ত অপরাধীর পাপ ধুয়ে যায়। মোদিজি কালোধন সাদা করে দিয়েছেন।
কালোবাজারীদের সাদা করে দিয়েছেন। হাত মিলিয়ে, মঞ্চে তুলে রাজনৈতিক অপরাধীদের তিনি সাধু বানাতে চলেছেন। ত্রিপুরায় এসব চলবে না। মোদির তিনটি-এর ভেলকি প্রসঙ্গে বৃন্দা কারাত বলেন, ইংরেজী বর্ণটি এর আগে ‘এস’ আসে। এস মানে-শান্তি, সম্প্রীতি, সুরক্ষা। এই নিয়ে কেন একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না প্রধানমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেন তিনি।
জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, গোরা চক্রবর্তী, প্রদেশ রায়, ঝর্ণা দাস, রাজকুমার, নারায়ন দেব, গীতেশ রায় প্রমুখ।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com