ত্রিপুরার ৫৯ টি কেন্দ্রের ৩,১৭৪ টি বুথের মধ্যে ইভিএম গোলমাল হয়েছে ৫১৯টি বুথে। এই দাবি করে নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাবদিহি চাইল ত্রিপুরা সিপিএম নেতৃত্ব। এমন ঘটনায় বিপাকে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ইঞ্জিনিয়াররা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে সাফাই দিয়েছে কমিশন।
ত্রিপুরায় ইভিএম নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করল সিপিএম। নির্বাচনের দিন ৫৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতেই কোনও না কোনও বুথে ইভিএম খারাপ হওয়ার খবর মিলেছে। সিপিএমদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ৫১৯ টি বুথে ইভিএম খারাপ হয়। গণিতের হিসেবে সংখ্যাটা প্রতি ছটি ইভিএম পিছু খারাপ হয় একটি। রবিবার ভোট শুরুর পরেই ত্রিপুরার রামনগর কেন্দ্রে যে বুথে ভোট দেন মানিক সরকার, সেই শিশুবিহারী স্কুলের বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে যায়। ইভিএম সারানোর পর ভোট দেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। অন্যদিকে ইভিএম খারাপ হয়েছিল বিজেপি নেতা বিপ্লব দেবের বনমালীপুরেও। কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ছাড়াও ধর্মনগর কেন্দ্রে শনিবার রাতে খারাপ হওয়ার জন্য ৬১ টি ইভিএম বদলানোর অভিযোগ করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।
দিন কয়েক আগে ভোট প্রচারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছিলেন, মানিক সরকার সিপিএমকে ভোট দিলেও, তা তাদের দিকেই যাবে। এর পরেই নির্বাচনের কমিশনের দ্বারস্থ হয় সিপিএম। ইভিএম বিভ্রাট সামাল দিতে এদিন ১৮৪ জন ইঞ্জিনিয়ার রাখা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে। সূর্যমণিনগর কেন্দ্রে একইসঙ্গে ১৮ টি ইভিএম খারাপ হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইভিএম খারাপ হওয়ার জেরে বুথগুলিতে গভীর রাত পর্যন্ত লম্বা লাইন চোখে পড়ে। কী ভাবে একইসঙ্গে এতগুলি ইভিএম খারাপ হল, তা নিয়ে তদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্ত জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠানো হয়েছে বুথে। যেখানে তারা পারেননি, সেখানে নতুন ইভিএম পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
তথ্যসুত্র: অনলাইন
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com