সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো সদস্য সুভাষিনী আলি বলেছেন, লুটতরাজ, শান্তি বিনষ্ট ও ধর্মের নামে মানুষকে বিভাজন করা ছাড়া বিজেপির কাছ থেকে আর পাবার কিছুই নেই। এরা এই রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারকে হঠাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমস্ত জনবিরোধী কার্যকলাপ ও এদের বুজরুকির সামনে দাড়িয়ে মোকাবিলা করে একমাত্র বামপন্থীরাই। তাই তারা বামফ্রন্টকে নিশ্চিহ্ন করতে নেমেছে। এই লক্ষ্যে ত্রিপুরার মতো ছোট্ট রাজ্যেও প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ঝাকে ঝাকে মন্ত্রীসহ তাবড় তাবড় নেতারা ছুটে আসছেন। এদের বেশীর ভাগ প্রার্থীই জোট আমলের কলঙ্কিতরা। অন্যদিকে ত্রিপুরাকে যারা ভাঙ্গতে চায় তাদের জোট সঙ্গী করেছে। ত্রিপুরায় এসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা।
গতকাল সোমবার আগরতলার বিটাবন ও ঠাকুরপল্লিতে বামফ্রন্ট সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় তিনি এই কথা বলেন।
সুভাষিনী আলি আরো বলেছেন, ভিশন ডকুমেন্টে যা যা করা হবে বলে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার অনেককিছুই ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট সরকার করে ফেলেছে। ত্রিপুরার মেয়েরা কলেজস্তর পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়তে পারে, এখানে বিদ্যুৎ, শিক্ষায় ত্রিপুরা দেশের মধ্যে প্রথম, শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের নিরিখে ত্রিপুরা দেশের মধ্যে একটা মডেল রাজ্য হিসাবে স্বীকৃত। এই বিষয়গুলো নিয়েই বিজেপি ভিশন ডকুমেন্ট ঘোষনা করেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এই সমস্ত দিকে পেছনে আছে। ত্রিপুরার ভিশন ডকুমেন্ট বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির জন্য হওয়া প্রয়োজন।
সুভাষিনী আলি ভোটারদের প্রতি আহবান জানান, ত্রিপুরায় শান্তি বজায় রাখতে, সৌভ্রাতৃত্ব আরও মজবুত করতে, উন্নয়ন কাজ জারী রাখতে বামফ্রন্টকেই ভোট দিন। গড়ে তুলুন আরও শক্তিশালী বামফ্রন্ট সরকার।
জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষ্ণা মজুমদার, রতন দাস, সুভাষ দাস, ঝলক মুখার্জী, সাত্তার ভুইয়া, মহানন্দ সরকার কৃষ্ণা রক্ষিত, শিশির সরকার, চুনু মিয়া প্রমুখ।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com