সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো সদস্য ও ত্রিপুরারাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছেন, বিজেপি চার বছর আগে দেশের মানুষকে আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। কোথায় গেল আচ্ছে দিন? এখন দেশের ক্ষমতা দখল করে গরিব মেহনতি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে। আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল সম্মুখের দ্বারা পরিচালিত কেন্দ্রের বিজেপির এখন নতুন স্লোগান-ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাবে। অন্যপক্ষ সন্ত্রাসবাদের গর্ভজাত আইপিএফটি। ত্রিপুরার চিরন্তন পাহাড়ি বাঙ্গালি ঐক্য সম্প্রীতির বেদীমুলে আঘাত হেনে ত্রিপুরারাজ্যকে যারা খন্ড-বিখন্ড করতে চায়। এই দুই অশুভ শক্তি হাত মিলিয়েছে ত্রিপুরার উন্নয়ন অগ্রগতিকে স্তব্ধ করে ত্রিপুরারাজ্যকে লন্ডভন্ড করে দিতে।
বুধবার দুপুর এবং বিকালে কুমার ঘাট আর কৈলাশহরে বামফ্রন্ট আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এই সব কথা বলেন।
বিজেপি আর আইপিএফটির সাম্প্রদায়িক, বিভেদকামী শক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে মানুষকে এদের চক্রান্ত মোকাবিলায় সর্তক থাকতে জনগনের প্রতি আহবান জানান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিভাজনের রাজনীতি যারা করে, তাদেরকে ভোটের বাক্সে উপযুক্ত জবাব দিয়ে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের আরও বেশী ভোটে জয়ী করার মাধ্যমে ত্রিপুরারাজ্যের শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জনগণের প্রতি আবেদন রাখেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আরো বলেছেন, বিজেপি জোট দেশে গোরক্ষাবাহিনী তৈরী করেছে, এখন পর্যন্ত ৩৫ সংখ্যালঘু অংশের মানুষ ওদের হাতে খুন হয়েছে। দিল্লীতে তিনটি গির্জা পুড়িয়ে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ,ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের একাংশ ছড়িয়ে এখন এটা আসামেও এসে পৌছেছে। তাদেরকে ত্রিপুরায় আসার সুযোগ দেয়া হবেনা।
জনসভাগুলোতে আরো বক্তৃতা করেন তপন চক্রবর্তী, বিজয়ধর, স্বপন কুমার বৈষ্ণব, শ্যামল রায়, সঞ্জীব মালাকার, অনিল চাকমা টুনুবালা মালাকার মবস্বর আলী, বিধুভুষণ মালাকার, পুর্নিমা সিংহ, এম কে ডার্লং, তজমুল আলী চৌধুরী, অরুন কুমার, চাকমা, লক্ষনকর, বসির আলী প্রমুখ।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com