ভারতের তাজমহলেও এবার লাগছে গেরুয়ার ছিটে। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে গোটা রাজ্যকে মুড়ে দিয়েছেন গেরুয়া রঙে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর হোক বা সচিবালয়, স্কুল-কলেজ হোক বা শৌচালয়— গেরুয়া রঙে ছয়লাপ রাজ্য। এ বারে তাজমহলেও ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিত হওয়ার পালা।
না, তাজমহলের রং বদলিয়ে গেরুয়া হচ্ছে না বটে। কিন্তু এ বারেই প্রথম ‘তাজ মহোৎসব’ অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে রাম-বন্দনা দিয়ে। আর তা নিয়েই ফের জমে উঠেছে রাজনীতি।
মাসখানেক আগেই উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি সাংসদ প্রকাশ্যে তাজমহলকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। মোগল শাসকের তৈরি তাজমহলের মাহাত্ম্যকে বড় করে না দেখানোর পক্ষে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। যে কারণে উত্তরপ্রদেশের পর্যটন পুস্তিকা থেকে বাদ গিয়েছিল তাজ মহল। বরং অযোধ্যাকে মূল সাংস্কৃতিক ও পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছিলেন তিনি। যাতে অযোধ্যার চাপে ঢাকা পড়ে যায় তাজমহল। কিন্তু প্রবল বিতর্ক তৈরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে হয় যোগীকে। সম্প্রতি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সস্ত্রীক বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সঙ্গে করে তাজমহল ঘোরাতেও নিয়ে যেতে হয়েছিল যোগীকে।
এখন তাই কৌশল বদলেছে। তাজ মহলকে সরাসরি বাতিল না করে তাজের গায়ে লাগানো হচ্ছে রামের মহিমা। সেই লক্ষ্যে ‘তাজ মহোৎসব’ও রাম বন্দনায় মাতাতে চাইছেন যোগী। ১৮ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি চলবে এই উৎসব। উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের রাজ্যপাল রাম নাইক ও মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। আর সেদিনই ‘শ্রীরাম ভারতী কলা কেন্দ্র’-এর আয়োজনে হবে রামের নৃত্যনাটিকা।
তাজ উৎসবে এই প্রথমবার রাম-ধ্বনি তোলার জন্য রাজ্যের সমাজবাদী পার্টি ঘোরতর সমালোচনা করেছে বিজেপির। তাদের মতে, তাজমহল গোটা বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্য। সেখানে রাজনীতি করার কোনও অর্থ নেই। আর সমাজবাদী পার্টির মুখ বন্ধ করতে বিজেপি সামনে নিয়ে এসেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সংখ্যালঘু নেতা মোহসিন রাজাকে। তিনি বলেন, ‘‘রাম আমাদের আদর্শ। বিরোধীরা যদি রামের বন্দনা পাকিস্তানে করাতে পারে, তাহলে সেখানেও আমরা সঙ্গে যেতে রাজি।’’ সুত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com