প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএনপিতে চলে আসছে স্বজনপ্রীতি। স্বজনপ্রীতির যাঁতাকলে পড়ে বরাবরই অবহেলিত দলটির ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা। তাই দলের অভ্যন্তরে জিয়া পরিবারের স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরোধিতা করে দলকে গঠনতান্ত্রিক নিয়মানুযায়ী পরিচালিত করতে চাইলে সিনিয়র নেতাদের সাথে জিয়া পরিবারের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানান কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্যে তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন। কিন্তু মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান। কারণ তারেক এই মুহূর্তে চায়না তার মা কারামুক্তি লাভ করুক।
আর এর পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন সিনিয়র নেতারা। তারেকের আশংকা খালেদা মুক্তি পেলে তারেক হারাবে দলের নেতৃত্বের ভার আর খালেদা দেশের বাইরে গেলে সিনিয়র নেতারা কুক্ষিগত করে রাখতে পারে দলের প্রধানের আসন। যার কারণে খালেদা মুক্তি পেলে কোনোভাবেই সুবিধা হবেনা তারেকের।
এছাড়া খালেদাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে কোকোর স্ত্রী শর্মিলাকে দলের চেয়ারপার্সনে মনোনীত করার যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে তাতে বেজায় অসন্তুষ্ট তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমানও।
তাই তারেক আর জোবাইদার সাথে মির্জা ফখরুল ছাড়াও অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের মধ্যে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ।
শুধু সিনিয়র নেতাদের সাথেই নয় জিয়া পরিবারের অভ্যন্তরেও অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রমাণ সুস্পষ্ট। তাহলে, সিনিয়র নেতাদের সাথে জিয়া পরিবারের বিরোধের জেরে কি পরিবর্তন আসছে বিএনপির নেতৃত্বে?
সূত্র: odwitiobangla.com
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com