ব্রেকিং

x

জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে রোল মডেল-পুলিশের আইজি

বৃহস্পতিবার, ০১ মার্চ ২০১৮ | ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ

জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে রোল মডেল-পুলিশের আইজি

পুলিশের আইজি (ইন্সপেক্টর জেনারেল বা মহাপরিদর্শক) ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে গণমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও আস্থাশীল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। পুলিশকে আস্থা অর্জন করতে হবে এই কারণে যে, কেউ বিপদে পড়লে প্রথমে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকেন। এরপরই পুলিশের সহায়তা চান। পুলিশকে যেন মানুষ সেই আস্থায় নিতে পারে, সে লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি।


আমরা বলি, পুলিশ জনগণের বন্ধু। প্রকৃত অর্থেই দেখাতে চাই, যে কোনো বিপদে বা প্রয়োজনে ডাকলেই যেন মানুষ পুলিশকে পায়। এ আস্থা অর্জনের দায়িত্ব প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের। তাই নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে। গণমানুষকে সম্মান দেখানোর মাধ্যমেই সম্মান পেতে চাই। নিরীহ-নিরপরাধ মানুষের পাশে থাকতে চাই।মঙ্গলবার সন্ধায় সুত্রে উল্লেখিত সংবাদ মাধ্যমকে  তিনি এসব কথা বলেন। ৩১ জানুয়ারি পুলিশ বাহিনীর প্রধান হিসেবে যোগ দেন ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী। পুলিশ সদর দফতরে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে আইজিপি আরও বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাচ্ছি। এ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরনও পরিবর্তিত হচ্ছে। উন্নত দেশে বেশিরভাগ অপরাধ হচ্ছে সাইবারসংশ্লিষ্ট। আমাদের দেশেও সাইবার অপরাধ বাড়ছে। বাংলাদেশে ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ ব্যাংক থেকে লুট হয়ে গেল। আমরা জানতেই পারলাম না, কারা এ টাকা লুট করল? সার্বিকভাবে অপরাধ এখন অনেক উঁচুমাত্রায় চলে গেছে। এ ধরনের উঁচুমাত্রার অপরাধ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন করতে চাই।


বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একটি মহল জঙ্গি তৎপরতার মাধ্যমে সমাজকে পিছিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ওই পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছি। বিশ্বের বুকে ভুল বার্তা দিয়ে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানো হয়েছিল। আমরা সেটাকে রুখে দিয়েছি। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে রোল মডেল। দেশকে এখন নিরাপদ জায়গায় নিয়ে এসেছি। জঙ্গিরা যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য কাউন্টার টোরোরিজম ইউনিট এবং অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটসহ পুলিশের বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত শাখা খোলা হয়েছে। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে যে সক্ষমতা থাকা উচিত, তা আমরা অর্জন করেছি।

দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে আইজিপি (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) বলেন, প্রো-অ্যাকটিভ পুলিশিং (ইন্টেলিজেন্স নির্ভর) নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চাই। ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমেই জঙ্গি ও আগুন সন্ত্রাস দমন করেছি। নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরে আইজিপি বলেন, পুলিশকে সাধারণ মানুষের আস্থায় আনতে বিট পুলিশিং, ওপেন হাউস ডে এবং কমিউনিটি পুলিশিংকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হবে। সমস্যা সমাধানে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিকে (আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে) অগ্রাধিকার দেব। কারণ পৃথিবীর আনেক দেশেই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি একটি কার্যকরী ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। হাজার হাজার লোক ছোটখাটো বিরোধ নিয়ে পুলিশের কাছে আসে। তারা মামলা-মোকদ্দমায় জড়াতে চান না। এসব সমস্যা সমাধানে আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষকে মিলিয়ে দিতে চাই।

ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জন্মগতভাবেই মানুষ পুলিশকে ভয় পায়। এজন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। আগে দেখা যেত, বাচ্চাদের (শিশু) রাতে ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ানো হতো। কোনো বাচ্চা ঘুমাতে না চাইলে ভয় দেখিয়ে বলা হতো, ‘তাড়াতাড়ি ঘুমাও, না হলে পুলিশ চলে আসবে।’ এখনও কোনো কোনো জায়গায় শিশুদের এ ধরনের ভয় দেখানো হয়। যে শিশুটিকে পুলিশের ভয় দেখানো হয়, ওই শিশুটি হয়তো পুলিশকে চেনেই না। দীর্ঘদিন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ১২ ডিসেম্বর জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এ পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি কল এসেছে। অপরাধ কার্যক্রমের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য অনেকে ফোন করছেন। বাল্যবিয়ে রোধে ফোন করার এক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ে বেশ কয়েকটি ঘটনা রুখে দিয়েছি। দুর্গম চরাঞ্চলে প্রতিবন্ধী কিশোরী নির্যাতনের বিষয়ে ‘৯৯৯’ কার্যক্রমের আওতায় ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আইজিপি বলেন, পুলিশের অর্জন অনেক। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবেলায় ১৭ জন পুলিশ প্রাণ দিয়েছেন। ৩ হাজার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এখনও অনেকে পঙ্গুত্বের সঙ্গে লড়াই করছেন। আমরা সেই পুলিশের উত্তরসূরি। এক প্রশ্নের জবাবে আইজপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, কিছু পুলিশের অপেশাদার আচরণ ও ব্যক্তিগত অপরাধে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

২ লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যের মধ্যে এদের সংখ্যা অনেক কম। তারপরও তাদের কারণে গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে। যেসব পুলিশ সদস্যের কারণে বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আমার মনোভাব কঠোর। পুলিশের কোনো সদস্য অপরাধ তৎপরতায় জড়িয়ে পড়লে তার দায় বাহিনী নেবে না। তিনি বলেন, সব চাকরিতে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা থাকে। কিন্তু পুলিশের তা নেই।

অন্য চাকরিজীবীরা যখন অফিসে আসেন, পুলিশ সদস্যরাও তখন অফিসে আসেন। কিন্তু তারা কখন বাসায় ফিরবেন, তার ঠিক নেই। সাপ্তাহিক ছুটিতেও পুলিশকে কাজ করতে হয়। ঈদ, পূজাসহ বিশেষ দিনগুলোয়ও পুলিশের ছুটি মেলে না। ওইসব দিনে তাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। অথচ তারা পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বর্তমান সরকারপ্রধান পুলিশকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। শতভাগ রেশন নিশ্চিত হয়েছে। বেতন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়েছেন। চাওয়ার আগেই অনেক কিছু দিচ্ছেন। আমাদের আরও যেসব চাহিদা আছে, তা সুনির্দিষ্ট করে প্রস্তাব আকারে সরকারের কাছে পাঠাব। তিনি বলেন, পুলিশের আবাসন সমস্যা প্রকট। যানবাহন অপ্রতুল। দুর্বৃত্তরা দামি ও উচ্চগতিসম্পন্ন গাড়ি ব্যবহার করে। অথচ পুলিশ ব্যবহার করে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। নৌপথে অপরাধীরা অপরাধ করে স্পিডবোডে পালিয়ে যায়। অথচ পুলিশ তাদের ধরতে যায় লঞ্চ দিয়ে। এসব জায়গায় সক্ষমতা বাড়াতে পুলিশের জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি কিনতে হবে। জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেবে না। জনগণের জান-মাল রক্ষায় যা প্রয়োজন, পুলিশ তা-ই করবে। এ দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। ৯ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে। যদি কেউ শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটিয়ে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, পুলিশ তা কঠোর হস্তে দমন করবে।

পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে পুলিশপ্রধানের কড়া হুশিয়ারির পরও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসপিদের কাছে তালিকা দিচ্ছেন। সে অনুযায়ী অনেকের চাকরি হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এখনও কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। কনস্টেবল নিয়োগটিকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এসপিদের বলে দিয়েছি, সঠিক লোক যাতে চাকরি পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো পুলিশ সদস্য আর্থিক লেনদেনে জড়াতে পারবে না। বিষয়টি মনিটরিং করতে এরই মধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রত্যেক জেলায় দুইজন করে পর্যবেক্ষক পাঠানো হয়েছে।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এইচএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে বলে আগাম ঘোষণা দেয়া হচ্ছে! এ বিষয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে আমরা কঠোর ভূমিকা নিয়েছি। অনেককে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের হাতে যাওয়া পর্যন্ত অনেক ধাপ রয়েছে। কীভাবে, কোন জায়গা থেকে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, সে বিষয়টি চিহ্নিত করা হচ্ছে। তদন্তে জানা গেছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। তাই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

কখনও কখনও দেখা যায়, অন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবেলায় পুলিশের সঙ্গে সরকার দলীয় সমর্থকরা মাঠে কাজ করে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইজিপি বলেন, জনগণের জান-মাল রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। এর বেশি বলব না। রাজধানীর শাহবাগে ছাত্র আন্দোলন মোকাবেলায় কলেজছাত্র সিদ্দিকের চোখ নষ্টের ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন আমার হাতে নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, ওই ঘটনায় যদি কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকে, তবে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনে গতি আনতে কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন আনা হবে জানতে চাইলে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর কিছু পরিবর্তন এনেছি। পুলিশ সদর দফতরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদসহ বিভিন্ন জায়গায় রদবদল হয়েছে। আরও পরিবর্তন আসবে। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া।

পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে সাধারণত পুলিশের মাধ্যমেই তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়। এ নিয়ে কেউ কেউ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আসা বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তে বিকল্প কিছু ভাবা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, এ নিয়ে পুলিশ কিছু ভাবছে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১০ বছরে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কতগুলো অভিযোগ এসেছে? কতগুলো অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে? কতজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? এসব প্রশ্নের জবাবে আইজপি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর এখনও অভিযোগ সেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তাই এ নিয়ে এ মুহূর্তে সঠিক তথ্য দিতে পারব না। তবে আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কোনো কোনো পুলিশ সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। তাছাড়া কারও কারও মধ্যে অপেশাদারত্ব ও অসদাচরণও আছে।

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!