কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মহিউদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ওসি মহিউদ্দিনকে প্রত্যাহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: ইকবাল হোসেন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যাহারের কারণ ‘প্রশাসনিক’ বলে বলা হলেও তাকে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, গত ৬ মার্চ কসবা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্যামল মজুমদার ও মনির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কসবা উপজেলার টি.আলী মোড় থেকে দুটি প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে। তবে তারা মাত্র ৪০ কজি গাঁজা থানায় জমা দিয়ে বাকি গাঁজা থানার পাশের একটি ঝোঁপে লুকিয়ে রাখেন। পরে ওইদিন রাতেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই ঝোঁপ থেকে গাঁজা উদ্ধার করে। তবে কী পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল সেটি সাংবাদিকদের জানানো হয়নি। এ ঘটনায় ৭ মার্চ সকালে এসআই শ্যামল ও এসআই মনিরসহ কসবা থানা পুলিশের ছয় সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছিল। একই সাথে মাদকের তথ্য গোপনের ঘটনা তদন্তে দায়িত্ব দেয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনকে। ওই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে ওসি মহিউদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়ে থাকতে পারে ধরণা করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: ইকবাল হোসেন বলেছেন, গাজার বিষয় নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। গাজার ঘটনার সাথে ওসি মহিউদ্দিনের সম্পৃক্তার প্রমান এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি আরো বলেছেন, প্রশাসনিক অন্যান্য কারণে ওসি মহিউদ্দিনকে পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com