কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন আহবায়ক কমিটিতে এক ছাত্রদল নেতার নাম থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানাগেছে, সম্প্রতি কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন হয়। এই কমিটিতে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আবির মোহাম্মদ সোহাগকে এক নম্বর সদস্য করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশের পর ছাত্রলীগের বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে ছাত্রলীগ জেলা ও কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমরা খা বলেছেন, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটিতে একজন ছাত্রদল নেতা রয়েছে, বিষয়টি খুবই দু:খজনক, দ্রুত তার সদস্যপদ বাতিল করা দরকার।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ জানান, অনপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আমি আগেও ছিলাম, এখনও আছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী রেজা পলাশ বলেন, ছাত্রদলের নেতাকে আহবায়ক কমিটিতে রাখায় আমি ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
ছাত্রলীগের কমিটিতে ছাত্রদল নেতা রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কসবা টি.আলী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফায়েজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, কসবা টি.আলী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সফিউর রহমান সাগর ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো:সায়মুন চৌধুরী, কসবা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক মাসুম রানা,
কসবা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল জানায় আবির মোহাম্মদ সোহাগ আমার স্বাক্ষরিত কসবা পশ্চিম ইউপি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। আমরা দল বদলে বিশ্বাস করি না।
কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ জানান ছাত্রলীগের মিছিলে এই সেই ছাত্রদলের নেতা আবির মোহাম্মদ সোহাগ আমার উপর কাচের বোতল দিয়ে ডিল মারে। যার ক্ষত চিহ্ন এখনও আমার হাতে রয়েছে। ছাত্রলীগের কমিটিতে প্রবেশ করছে জেনে অবাক হলাম, আমি নিন্দাসহ ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল ইসলাম জানান, আমি যে ইউনিয়নের ছাত্রলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবির মোহাম্মদ সোহাগ একই ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। আমি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককের কাছে প্রমাণ পত্র দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সাবেক সদস্য মেহেদী হাসান লেলিন জানান এই বিষয়ে আমি নিজেও মর্মাহত। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটি যাচাই বাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান এই অভিযোগের বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন জানান, আবির মোহাম্মদ সোহাগের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সাংগঠনিক ভাবে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবির মোহাম্মদ সোহাগ কসবা পশ্চিম ইউনিয়রে দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ও তার বাবা মো: মিজান মিয়া একই ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য । বাপ-বেটা মিলে কসবায় আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ লাঠি মিছিল করেছেন। ছাত্রলীগের কমিটিতে তার প্রবেশ খুবই দু:খ জনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: মনির হোসেন জানান, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ইউনিয়ন ছাত্রদলের দুই বারের সাধারণ সম্পাদক আবির মোহাম্মদ সোহাগকে ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটিতে প্রবেশের বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com