স্বামীর হাতে অমানসিক নির্যাতনের শিকার রহিমা আক্তার (৩০) নামে এক অসহায় গৃহবধু গুরুত্বর আহত অবস্থায় আজ শুক্রবার আখাউড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পুলিশ ও সাংবাদিকরা তাকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও প্রভাবশালী স্বামীর প্রাননাশের হুমকিতে গাজীপুরের শ্রীপুর হাসপাতাল থেকে তার স্বজনরা আখাউড়ায় নিয়ে এসেছে। ঘটনাটি আখাউড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
আহত গৃহবধু রহিমা জানায়, গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার উজিলাব গ্রামের জহিরুল ইসলামের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জাঙ্গাল গ্রামের আলী মিয়ার কন্যা রহিমার বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে। পরকীয়া সন্দেহে গত ৬ মাস ধরে তার স্বামী রহিমাকে শারিরিক নির্যাতন করছে। টানা ২৮ দিন ধরে ঘরে আটকে রেখে রহিমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিরিঞ্জ ও লোহার পেরেক গরম করে ছ্যাকা দেয়া হয়। নির্যাতনে সারা শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরে স্বজনদের অভিযোগে ভিত্তিতে শ্রীপুরের পুলিশ ও সাংবাদিকরা রহিমাকে গত ১১ অক্টোবর স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কয়েকদিন চিকিৎসার পর স্বামীর প্রভাবশালী স্বজনরা স্থানীয় ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা বলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে নিয়ে আসে। এতে স্বামী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিলে প্রাণ ভয়ে আহত অবস্থায় তার মার সাথে আখাউড়ায় চলে আসে রহিমা। আজ শুক্রবার রহিমাকে আহত অবস্থায় আখাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রহিমা ও মা আফিয়া খাতুন পাষন্ড জহিরুল ইসলামের বিচার দাবী করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আখাউড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: রুহুল মোহছেন সুজন বলেছেন, রহিমার শরীরে জখম রয়েছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com