ব্রেকিং

x

আশুগঞ্জে প্রথম পত্রের পরীক্ষায় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন, উধাও ৪ প্রশ্নপত্র!

বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ | ৮:২৩ অপরাহ্ণ

আশুগঞ্জে  প্রথম পত্রের পরীক্ষায় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন, উধাও ৪ প্রশ্নপত্র!
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা কলেজ কেন্দ্রে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের বদলে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র দিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে দেয়া হলেও বিতরণ করা প্রশ্ন চারটি কম পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন।


তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জেনে প্রশ্নপত্র খোয়া ও অন্যান্য বিষয়ে আমরা উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত প্রমান পেলে তাদের ব্যপারেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জ সার কারখানা কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে প্রথম পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ট্যাগ অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার রোকসানা আক্তার ট্যাগ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সকালে থানা থেকে তিনি ও তার সাথে কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান গিয়ে থানা থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করেন। পরে পরীক্ষা শুরু হলে কেন্দ্রে ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয়পত্র প্রশ্ন বিতরণ করে ১৯২ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরু করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো পরীক্ষার হলে হৈচৈ পড়ে পড়ে যায়। পরে কক্ষ পরিদর্শকরা সকল প্রশ্ন তুলে নেন। প্রশ্ন পরিবর্তন করে ইসলামের ইতিহাস প্রথমপত্র প্রশ্ন বিতরণ করে আধাঘন্টা দেরিতে আবারো পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে বিতরণ করা চারটি প্রশ্ন কম পাওয়া যায়।
ঘটনার পর থেকে সংশ্লিষ্টরা স্থানীয়রা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগেন। সাংবাদিকদেরকেও তারা এড়িয়ে যান। অনেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। অনেক কল রিসিভ করেন নি কিংবা অন্যকে দিয়ে কল ধরিয়েছেন।
আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. বদরুল আলম জানান, থানাতেই প্রশ্নপত্র রাখা হয়। আজ সকাল আটটার দিকে ও ১০টার পর দুইদফা প্রশ্নপত্র নেয়া হয়। তবে কি কারণে দুইবার প্রশ্নপত্র নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরাই ভালো বলতে পারবেন।
কথার বলার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে প্রথমে তিনি রিসিভ করেন নি। পরে ফোন বন্ধ করে দেন। একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি ইউএনও মৌসুমী বাইন হীরা।


আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!