আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করায় ইউপি সদস্য মাদক ব্যবসায়ী হান্নান মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নির্দেশে এই মামলা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক নুরুন্নবী ভুইয়া জানান, নাম ঠিকানা গোপন রেখে মাদক মামলায় হান্নান মেম্বারের পরিবর্তে সেলিম মিয়া গত ১১ মার্চ হাজিরা দিয়েছেন। হান্নান মেম্বারের সাথে সেলিমের লেনদেনের চুক্তি হয়েছিল। প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী হান্নান মেম্বার চুক্তি সম্পূর্ণ না করায় জেলা কারাগারে থাকা সেলিম হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে এসব কারাগার কর্তৃপক্ষের লোকজনের সাথে বলেন। পরে কারা কর্তৃপক্ষের লোকজন বিষয়টি আদালতে জানায়। পরে সেলিম ক্ষমা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করলে গতকাল রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেনের আদালতে হান্নান মেম্বারের মামলার শুনানী হয়। শুনানীতে আদালতের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ হয়ে গেলে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী হান্নান মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে সেলিমকেও আইনের আনতে বলা হয়।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেছেন, প্রতারণার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত থেকে পাঠানো এজাহারের ভিত্তিতে কারাগারা থাকা প্রতারক সেলিম মিয়া ও প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী হান্নান মেম্বারের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য মাদক মামলায় পলাতক আসামী আখাউড়া দক্ষিন ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও আখাউড়া পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারন সম্পাদক হান্নান মেম্বারের পরিবর্তে গত ১১ মার্চ আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে আটক হয় আখাউড়া নুরপুন বন্দের বাড়ি এলাকার সেলিম মিয়া (৪৫)। রোববার মামলাটি জেলা জজ কোর্টে শুনানীর সময় এ ঘটনা প্রকাশ পায়।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com