আখাউড়া পৌরসভার রাধানগর বনিকপাড়া ড্রেন নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মসহ রাস্তায় নির্মান সামগ্রী রাখায় মানুষ পথ চলাচলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের নিরবতা আর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কল্লাহ শহীদ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষের দাপটে চলছে এসব অনিয়ম। কাজের গুনগত মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে স্থানীয়রা প্রশ্ন তুল্লেও কোন প্রতিকার নেই। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত ইকবাল মাষ্টার বলেছে কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না।

খোজ নেয়ার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, আখাউড়া পৌরসভার বনিকপাড়া রাস্তার পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের ঢালাই কাজে কাদা পানির মিশ্রণে হচ্ছে। ডিজাইন অনুযায়ী ঢালাই কিংবা ওয়ালের রড রাইন্ডিং হচ্ছে না। ডিজাইন অনুযায়ী ১৪ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্জি রড বাইন্ডিং করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে  দ্বিগুণ দূরত্বে। যেসব স্থানে ঢালাই করা হয়েছে সেইসব স্থানের ঢালাই ছিদ্র হয়ে পানি ডুকছে। এছাড়াও ঢালাই কাজে মাটি কাদা মিশ্রিত পাথর, বালি দেয়া হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী পাথর, বালি ও সিমেন্টের মিশ্রন করা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, কাজের তদারকীতে একজন ইঞ্জিনিয়ার থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে কেউ নেই। ঠিকাদারের লোকজনই সব করছে। এছাড়া ১০/১৫ ফুট পর পর জোড়াতালি দিয়ে পুরো ড্রেনটিকে বাকা করে তুলা হচ্ছে, এতে ড্রেনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিমত।

কাজে অনিয়মের পাশাপাশি আজ শুক্রবার সকালে পৌরসভার রাধানগর ঘোষ পাড়ার রাস্তায় নির্মান সামগ্রী ফেলে হাজার মানুষের পথ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। পথচলাচলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে মানুষ প্রতিবাদ করলে দুই ঘন্টা বন্ধ থাকার পর একটি অংশ খুলে দিয়েছে কিন্তু এই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত ইকবাল মাষ্টার জানায়, ড্রেনের কাজে অনিয়ম হচ্ছে না। বালি রাখার জায়গা না থাকায় ঘোষপাড়ার রাস্তায় অল্প সময়ের জন্য এক গাড়ি বালি রাখা হয়।

আখাউড়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফয়সাল জানায়, শুক্রবার বন্ধ থাকায় তিনি কর্মস্থলে নেই। কাজের তদারকীর জন্য পৌরসভার একজন অফিস সহকারীকে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কাজে অনিয়ম হওয়ার কথা নয়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম করলে ভেঙ্গে নতুন করে করানো হবে।