ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ আমদানি বন্ধ রেখেছে ভারতের ব্যবসায়িরা। অবৈধ পথে মাছ পাচারের প্রতিবাদে রবিবার থেকে সেখানকার ব্যবসায়িরা মাছ নিচ্ছেন না। দুই দেশের ব্যবসায়িরাই অবৈধ পথে মাছ পাচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
ব্যবসায়িরা জানান, এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০-৭০ টন মাছ রপ্তানি হয়। মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিন প্রায় প্রায় ৭০-৮০ লাখ টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। লোকসান গুণতে হচ্ছে দুই দেশের ব্যবসায়িদের।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের ব্যবসায়িরা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে ভারতীয় ব্যবসায়িদের দেয়া স্মারকলিপিতে থাকা তথ্য অনুযায়ি বাংলাদেশের দৌলতপুর, গোসাইস্থল, আশাবাড়ি, বাঁশডুবি ও চরনাল সীমান্ত দিয়ে অবাধে অবৈধভাবে মাছ ভারতের আগরতলায় আসছে। ত্রিপুরার মহারাজগঞ্জ ও বটতলা বাজারে এসব মাছ বিক্রি হয়। এমনকি ইলিশ মাছও অবৈধ পথে চলে আসছে। এসব মাছ খুব সকালে চলে আসে বলে বৈধভাবে যাওয়া মাছ সঠিক মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে আখাউড়া স্থলবন্দর মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুক বলেন, ‘ভারতীয় মাছ আমদানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন। অবৈধ পথে আগরতলায় মাছ চলে যাচ্ছে বলে লোকসান হওয়ায় সেখানকার ব্যবসায়িরা মাছ নিবে না বলে আমাদেরকে জানিয়ে দেন।’
মাছ রপ্তানির সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রীতম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মনির হোসেন বাবুল বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মাছ পাচার বন্ধে আলোচনা করতে আমরা স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী, বন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করব। ভারতীয়রা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছে।’
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com