দেশের অন্যতম বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন স্টেশন আখাউড়া মানেই কোলাহলপূর্ণ। সেই রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে ৬৭ দিন পর গেলো যাত্রীবাহী ট্রেন। তবে আজ সোমবার বেলা তিনটা ২০ মিনিটে নির্ধারিত সময়ে ট্রেনটি যেন খুব নীরবেই চলে যায়!
স্টেশনে ছিলো না কোনো বাড়তি যাত্রী। শুধুমাত্র টিকিট নিশ্চিত করা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা (তাপমাত্রা মাপা) করে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। ছিলো না হকারের আনাগোনা। নির্ধারিত ২০ যাত্রীর চেয়ে বেশি ছিলো সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আখাউড়া স্টেশনে প্রবেশে শুধুমাত্র প্রধান ফটকটি খুলে রাখা হয়েছে, তাও অর্ধেক অংশ। আশেপাশে দিয়ে বের হওয়ার যে রাস্তা আছে সেগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। অনলাইনে টিকিট নিশ্চিত করা যাত্রীদেরকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেয়া হয় তাপমাত্রা মেপে।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় এসএসসির ফলাফলে সেরা সাফল্য, পাসের হারে জেলায় প্রথম স্থান লাভ করেছে
সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্ত:নগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা তিনটা ১০ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে। ট্রেন থেকে ১০-১৫ জন যাত্রীকে নামতে দেখা যায়। ট্রেন প্রবেশের পর পরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রশিদ হাত মাইকে সচেতনতামূলক প্রচার করেন। ট্রেনে দায়িত্বরতদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ট্রেনটির বেশিরভাগ বগিতেই নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রীদেরকে বসে থাকতে দেখা যায়। তবে পিছনের দিকে দুইটি বগিতে নিয়মের বাইরে যাত্রী লক্ষ্য করা গেছে। নির্ধারিত সময় বেলা তিনটা ২০ মিনিটে ট্রেনটি আখাউড়া ছেড়ে যায়। ট্রেনটিতে কোনো ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা (হকার) দেখা যায় নি।
ট্রেনের যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, ‘খুবই নিরাপদ লাগছে এ ভ্রমণ। সিলেট স্টেশন থেকে উঠার সময় সকল যাত্রীদেরকে বেশ সামাজিক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উঠানো হয়। যাত্রীরা ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে বসেছে। বেশির ভাগ যাত্রী জানালার পাশের সিটে বসে। তাঁদের প্রত্যেকের পাশের সিট খালি ছিলো। এভাবে যদি নিয়মিত ট্রেন চলে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনিয়মের দায়ে পৌর কাউন্সিলর বরখাস্ত
কথা হয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আখাউড়ার পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘ট্রেন আসার আগে থেকেই আমাদের লোকজনসহ সংশ্লিষ্টরা স্টেশনে অবস্থান নেন। শুধুমাত্র অনলাইনে টিকিট নিশ্চিত করা ২০ জন যাত্রীকে স্টেশনে ঢুকতে দেয়া হয়। স্টেশনে কোনো হকারকেও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।’
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মো. কামরুল হাসান তালুকদার জানান, টিকিট কাউন্টার খোলা নেই। শুধুমাত্র অনলাইনে টিকিট নিশ্চিত করে যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারছেন। আপতত এ স্টেশনে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি দিচ্ছে। পরবর্তীতে উপকুল এক্সপ্রেস যাত্রী বিরতি দিবে।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় বিদ্যুতের ‘সামাজিক দূরত্ব’!
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com