ব্রেকিং

x

আখাউড়া খড়মপুর মাজারের অর্থ আত্মসাত অভিযোগের ঘটনায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ৯:৪৯ অপরাহ্ণ

আখাউড়া খড়মপুর মাজারের অর্থ আত্মসাত অভিযোগের ঘটনায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

পত্রিকায় প্রকাশিত আখাউড়া খড়মপুর মাজার শরীফের ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা আত্মসাত অভিযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।


সকাল ১১টায় মাজার পরিচালনা কমিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক সালেহ নোয়াজ খান খাদেম।


সংবাদ সম্মেলনে সালেহ নোয়াজ খান খাদেম জানান, খড়মপুর গ্রামের নাছিরুল হক খাদেম সংবাদ সম্মেলন করে যেসব তথ্য সরবরাহ করেছে পত্রিকায় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি আরো বলেছেন, আখাউড়া খড়মপুর হযরত শাহ সৈয়দ আহাম্মদ গেছু দারাজ (র:) প্রকাশ্যে হযরত শাহপীর কল্লা শহীদ (র:) দরগাহ শরীফ ১৯৯৬ সালের বিধিমালা অনুযায়ী পদাধিকার বলে মাজার কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। খাদেম পরিবারের ভোটে সাধারন সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে পাবলিক নির্বাচিত হয়। মাজারের সমস্ত উন্নয়ন কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। অর্থ উত্তোলন করতে হলে সভাপতি, জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। তাই ইচ্ছে থাকলে অনিয়ম কিংবা দুর্নীতির সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেছেন আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করে যাচ্ছি এই অবস্থায় আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে নাছিরুল হক খাদেম সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করেছে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সাধারন সম্পাদক রহুল আমিন খাদেম ও হাসান খান খাদেম বক্তব্য রাখেন। তারা বক্তব্যে নির্দোষ দাবী করে বলেছেন তাদের আমলে এতো অর্থের উন্নয়ন হয়নি তাই দুর্নীতির প্রশ্নই আসেনা।

উল্লেখ্য যে, আখাউড়া খড়মপুর গ্রামের নাছিরুল হক খাদেম গত ৪ ফেব্রুয়ারী তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন মাজারের বর্তমান সাধারন সম্পাদক সালেহ নোয়াজ খান খাদেমসহ ২০০৯-২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকা সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন খাদেম ও হাসান খান খাদেম আখাউড়া খড়মপুর শাহপীর কল্লাহ শহীদ মাজারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের নামে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাদের এ অনিয়ম-দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য খাদেম পরিবারের ২০৫ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ গত বছরের ৩ অক্টোবর ওয়াক্ফ প্রশাসকের কাছে দেয়া হয়েছে। ওই অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত কার্যক্রম শুরুর আগেই ১৭ ডিসেম্বর রাতে মাজার শরিফের কার্যালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকান্ড ও চুরির ঘটনা ঘটে। ওই আগুনে মাজারের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে যায় এবং কিছু নথিপত্র খোয়া যায়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী নাছির উদ্দিন খাদেম লিটন, সাংবাদিক জুটন বনিক, নুরুন্নবী ভুইয়া, বিশ্বজিত পাল বাবু, হান্নান খাদেম, মহিউদ্দিন মিশু, কাজী মফিকুল ইসলাম সুহিন, মোজাম্মেল প্রমুখ।

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!