আজ শুক্রবার আখাউড়ায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবী সুমাকে হত্যা করে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার নাটক করেছে তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
নিহত সুমা আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ মনিয়ন্দ গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী এবং কসবা পৌরসভার শীতলপাড়া গ্রামের মো: কবির মিয়ার কন্যা।
পুলিশ জানায়, আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় স্বামীর বসতঘরে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শরীরে তেমন জখম ছিল না। তবে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নিহত সুমা আক্তারের বাবা মো: কবির মিয়া জানায়, গত ৬ বছর আগে দক্ষিন মনিয়ন্দ গ্রামের রনু মিয়ার পুত্রের সাথে তার কন্যা সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য সুমাকে তার স্বামী চাপ প্রয়োগ শুরু করে। এ নিয়ে অনেক দেনদরবারও হয়। এর মধ্যে সুমার গর্ভে দুই সন্তানের জন্ম হয়। কয়েক মাস আগে স্বামী যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করলে আদালতে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে কবির মিয়া। পরে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংশা হলে সুমাকে পুনরায় স্বামীর বাড়ি পাঠায়। মাস যেতে না যেতেই আবার সুমার উপর অত্যাচার শুরু হয়।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্প্রতিবার রাতে তার মেয়ে সুমাকে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার নাটক করেছে। সুমার সারা শরীরে জখম রয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমার পা বাকা করা ছিল, যদি তার পা সুজা থাকত তাহলে গলায় ফাস লাগতো না। এছাড়া সুমার মৃত্যুর পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে। তিনি তাদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দাখিল করেছেন বলেও জানান।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। নিহতের বাবা আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দাখিল করেছেন বলেও তিনি জানান।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com