ব্রেকিং

x

আখাউড়ায় শতাধিক একর আবাদি জমিতে পুকুর খনন অব্যহত রয়েছে (ভিডিওসহ)

শনিবার, ১৬ মে ২০২০ | ১০:০০ অপরাহ্ণ

নিদু মেম্বারের জমিতে খনন চলছে

আখাউড়ায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন অব্যহত রয়েছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী একটি অসাধু চক্র প্রকাশ্যে এই অপকর্ম করছে। চক্রটি এতোই শক্তিশালী যে, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতিতেও শতাধিক একর ফষলি ভুমির শ্রেনী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করছে।


খোজ নেয়ার সময় দেখাগেছে, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ গ্রামের বধর্ণবাড়ির রাস্তার পাশে নিদু মেম্বার নামক এক প্রভাবশালী কয়েক একর ফসলি ভুমি খনন করে প্রথমে চারদিকে পাড় গড়ে তুলেছে, বর্তমানে জমির ভেতরের অংশ খনন করে অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে মাটি সরানো হচ্ছে। এভাবে কিছু দিন খনন কাজ চলতে থাকলে জমিটি পুকুরে পরিণত হয়ে যাবে। এখানে এক্সক্যাভেটর ও কোদাল দিয়ে খনন কাজ চলছে।


এদিকে টনকী গ্রামে গিয়ে দেখাগেছে নাজিম উদ্দিন নামক এক প্রভাবশালী ব্যক্তি কয়েক বিঘা ফসলি জমি খনন করে পুকুর গড়ে তুলেছে। প্রকাশ্যে দিনের আলোতে নিজের ও তার সন্তানের প্রভাব খাটিয়ে এই পুকুর গড়ে তুলেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। তুলাইশিমুল সড়কে চেয়ারম্যান অফিসের কিছু পুর্বদিকে ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি ভরাট করা হয়েছে।

মনিয়ন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: কামাল ভুইয়া জানান, নিদু মেম্বার যে ফসলি জমি খনন পুকুর তৈরী করছে তাতে সরকারী জমিও রয়েছে। কাজী নাজিম্ উদ্দিনের পুকুর খনন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসন দুইজনের কাজে বাধা দিয়ে খনন কাজ বন্ধ করেছিল কিন্তু পরে পুনরায় খনন কাজ শুরু করে। কিভাবে খনন কাজ শুরু করতে পারলো তা প্রশাসন বলতে পারবে।

অপরদিকে ধরখার ইউনিযনের ছতুরাশীরফ এলাকায় মোখলেছ ভুইয়াসহ তার কয়েকজন ভাই মিলে ১৩ একর ফসলি ভুমি খনন করে গড়ে তুলছে বিশাল পুকুর। মোখলেছ গংরা এখানে প্রকাশ্যে প্রভাব খাটিয়ে পুকুর খনন করছে, এতে সরকারী গোপাটসহ সাধারন কৃষকদের নানা প্রতিবন্ধীকতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘোলখার গ্রামে সেন্টু ভুইয়া ফসলি জমি খনন করে গড়ে তুলেছে পুকুর।

মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামের ইউনুছ মিয়া ও তোতা মিয়া ফসলি ভুমি খনন করে গড়ে তুলছে বিশাল পুকুর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষি কর্মকর্তা জানায়, এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে ফসলি জমির পরিমাণ কমতে থাকবে। ফসল উৎপাদনও হ্রাস পাবে। এছাড়াও জমির উর্বরতা শক্তিও হারাবে। উচু জমি গর্তে পরিণত হবে। এগুলোর লাগাম ধরতে না পারলে একসময় আবাদি জমি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুল হাসান জানান, কাউকে ফসলি জমির শ্রেনী পরিবর্তন করতে দেয়া হবে না। নিদু মেম্বারের খনন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরো জানান, নিদু মেম্বার যেখানে খনন কাজ করছে সেখানে তিনি আজ পরির্দশন করেছেন, পরির্দশনের সময় কাউকে কাজ করতে দেখা যায়নি বলেও তিনি জানান। কেউ খনন কাজ করতে চাইলে তাকে জানানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

 

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!