করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ আখাউড়ায় এনে দাফনের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। ধরখার ইউনিয়নের সমস্ত প্রবেশ পথে পুলিশ মোতায়েনসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা ও আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ রসুল আহমদ নিজামী ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। তবে রোগীর নিকট আত্মীয় স্থানীয় চেয়ারম্যান আরিফুল বাছির বলেছেন, লাশের গাড়ি কুমিল্লা পর্যন্ত আসার পর পুনরায় ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ দিবাগত রাত ১টায় লাশ আখাউড়া প্রবেশ করতে পারেনি।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা জানায়, করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ আখাউড়ায় দাফনের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে কুমিল্লা আসার পর ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই লাশ ঢাকায় হস্তান্তর করার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, তিনিসহ আাখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ ধরখারের তন্তর বাজারে অবস্থান করছেন।
এদিকে খবর নিয়ে জানাগেছে, করোনায় মৃত ব্যাংক কর্মকর্তা হেছাম উদ্দিন ওরফে বিল্লাল মিয়া স্থানীয় চেয়ারম্যান আরিফুল বাছিরের নিকট আত্মীয়। আজ রোববার ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাসকারী এই ব্যক্তির লাশ দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যরা আখাউড়া ধরখার ইউনিয়নের ছতুরাশরীফ গ্রামে নিয়ে আসতে চায়। সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে রওয়ানা হয় তারা। ঘটনাটি জানার পর উপজেলা প্রশাসন এতে বাধা দেয় কিন্তু তারা বাধা অমান্য করে লাশ নিয়ে কুমিল্লা পর্যন্ত আসার পর আটকা পড়ে। এতো বাধাবিপত্তির পরও পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে আখাউড়ায় আসতে চাইছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে ছতুরাশরীফ গ্রামের লোকজন করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ আনতে বাধা দিচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে তারা জড়ো হয়ে জানিয়ে দিয়েছে লাশ যেন গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com