আজ শুক্রবার আখাউড়ায় একদিনে তিনটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। দিনের বিভিন্ন সময়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম শরীফুল হক বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত থেকে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন।
জানাগেছে, আজ আখাউড়ায় কোথাও বরযাত্রী এসেছিলেন। কোথাও বা আসার পথে। তবে প্রশাসন ছিল সর্বত্রই! নির্ধারিত বয়সের আগেই মেয়ে বিয়ে দেওয়ার আয়োজন সফল হয়নি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল তিন স্কুলছাত্রী।
পৌর এলাকার লাল বাজার রেলগেইটের বাসিন্দা নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছিল বিজয়নগরের বরের সঙ্গে। মনিয়ন্দে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছিল কসবা উপজেলায়। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বন্ধ করার পাশাপাশি অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন। উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে প্রশাসনের উপস্থিতির খবর পেয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে আসতে থাকা বর পক্ষের লোকজন। ১৫ বছরের ওই মেয়েটির পরিবারের লোকজন মুচলেকায় উল্লেখ করেন নির্ধারিত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না।
আখাউড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফুল হক জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে চারটি বাল্যবিবাহর খবর পাওয়া যায়। আমরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়েই উপস্থিত হই। এর মধ্যে একটি মেয়ের বয়স ঠিক থাকায় বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়। মনিয়ন্দের মেয়েটির বিয়ের জন্য ভুয়া একটি জন্মনিবন্ধন বানানো হয়েছিল। বাকি দু’টির কাগজপত্র নিয়ে দেখা যায় বিয়ের বয়স হয়নি। বাল্যবিবাহ বন্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলে সহযোগিতা করেছেন।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com