ব্রেকিং

x

আখাউড়ায় ‘ফেসবুক ভালোবাসায়’ সিক্ত হলেন ভারতীয় পরিবার

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ | ২:২৯ অপরাহ্ণ

আখাউড়ায় ‘ফেসবুক ভালোবাসায়’ সিক্ত হলেন ভারতীয় পরিবার

নুরুন্নবী ভুইয়া:
লকডাউনের বাংলাদেশে থাকতে গিয়ে সোনা ও রূপার অলংকার বিক্রি করে দিতে হয় ভারতীয় এক পরিবারকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন এক সংবাদকর্মী। পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ফেসবুকের আহবানে সাড়া দিয়ে অনেকে এগিয়ে এলে তাদের অলংকারের ও যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় হয়। ফেসবুক ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সেই পরিবারটি অবশেষে দেশে ফিরে গেছেন।


এদিকে ওই পরিবারটিসহ মোট ১৩৪ জন বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে গেছেন। তাঁরাও লকডাউনের কারণে বাংলাদেশে আটকা পড়ে যান। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদনের মাধ্যমে তাঁরা দেশে ফিরতে পেরেছেন।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলার উষা বাজারের রিপা বর্মণ দাস, তার ছেলে মানিক ও মেয়ে রিপনা দাসকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ৯ মার্চ। কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জ ঘুরার পর লকডাউনে আটকা পড়া ওই পরিবার ১৫ মে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অনেকের পরামর্শে তাঁরা আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাদেরকে আখাউড়া লোকনাথ সেবাশ্রমের পূজারি আশীষ মহারাজের কাছে পাঠিয়ে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করেন। ওই পরিবারটি নারায়ণগঞ্জে থাকার সময় সাড়ে ছয় আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও পাঁচ ভরি ওজনের রূপার নুপুর বিক্রি করে দেন জানতে পেরে এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু। ওই স্ট্যাটাসে সাড়া দিয়ে দেশে বিদেশের অনেকেই আর্থিক সহায়তার জন্য এগিয়ে আসেন। অবস্থা এমন হয় যে পরবর্তীতে অনেককেই আর সাহায্য লাগবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়। এ অবস্থায় সকলের সহযোগিতায় ওই পরিবারটির পছন্দে প্রায় ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন কিনে দেয়া হয়। চেইনের প্যাকেটে লেখা ছিলো ‘মুজিবীয় ভালোবাসা, বাংলাদেশ’। এছাড়া একজন রূপার নুপুর কিনে দেন। যাওয়ার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও তাদের জন্য নতুন পোশাক কিনে দেন।

আরও পড়ুন: আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আরও ১৩৪ নাগরিককে ফেরত নিয়েছে ভারত সরকার

দরিদ্র পরিবারের রিপা বর্মণ স্বর্ণের চেইন কি-না আদৌ সম্ভব হতো কি-না সেটি উল্লেখ করে জানান, বাংলাদেশে থাকতে যে মর্যাদা পেয়েছি সেটি ভুলার নয়। প্রশাসন, সাংবাদিক থেকে শুরু করে সকলের সহযোগিতা আমরা পেয়েছি। আশ্রমের থাকার সময় অনেকেই আমাদের খোঁজ নিয়েছেন। খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, পরিবারটি আমার কাছে আসার পর আশ্রমে থাকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সার্বিক খোঁজ নেয়া হয়। এরপর স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্যোগে যেটা করা হয়েছে সেটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন: আখাউড়ায় হাওড়ানদীর ভাঙ্গনে বিলীন ৫ বাড়ি, ঝুকিপুর্ণ ১৩ পরিবার

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!