রাসেল মিয়া (৩৫) তার একটি পা নেই, লিপি বেগম (৩৩) ও হাকিম মিয়া (৫০) তাদের হাত-পা বাকা, হারুন মিয়া (৬০) অন্ধ ও তার সাথে রয়েছে আমেনা বেগম (৫০)। ওরা কেউ সরকারী বেসরকারী ক্রাণ সামগ্রী পায়নি। পেটের ক্ষুধা মিটাতে আজ বুধবার দুপুর ১টায় তাদের মধ্যে চারজন আখাউড়া সড়ক বাজার জামে মসজিদের সামনে ভিক্ষার জন্য বসে রয়েছে আর । একজন্য মসজিদের পাশে বন্ধ একটি দোকানের সিড়িতে বসে আছে কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে কোথাও কোন মানুষ নেই, নেই ভিক্ষা দেয়ার মত লোক।
খোজ নেয়ার সময় তারা জানায়, আখাউড়া রেলস্টেশন ও হাটবাজারে ভিক্ষা করেই চলতো তাদের জীবন। ভিক্ষার টাকা দিয়েই খাবার খেয়ে পেটের ক্ষুধা মিটাত কিন্তু এখন ভিক্ষার দেয়ার মত মানুষ না থাকায় পড়েছে বিপাকে। পেটে খাবার নেই অসহনীয় যন্ত্রনা নিয়ে বাচার তাগিদে আখাউড়া সড়ক বাজার বসে পড়েছে তারা। সরকারী ও বেসরকারী ত্রাণ পায়নি তারা ক্ষুধার জালায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় বসেছে তারা। কেউ যদি ঘর থেকে বের হয়ে তাদেরকে খেতে দেয় এই আশায় পথ চেয়ে বসে আছে কিন্তু তাতেও প্রকৃতির বাধা। শুরু হয়ে যায় ঝড় বৃষ্টি, এখান থেকে উঠে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। তখন পুলিশ আর কয়েকজন রিকসা চালক ছাড়া রাস্তায় তখন আর কাউকে দেখা যায়নি।
রাসেল মিয়া তার একটি পা নেই, থাকে আখাউড়া বড় বাজারে। সে বলেছে দুইদিন ঘুরেছে সরকারী ত্রাণ পাওয়ার আশায় কিন্তু তাকে সরকারী ত্রাণ দেয়নি কেই। একই অভিযোগ অন্ধ হারুন মিয়া ও তার সাথে বৃদ্ধ মহিলা আমেনা বেগমের। তারা থাকে টানপাড়া। প্রতিবন্ধী হাকিম মিয়া ও লিপি বেগমও সরকারী ত্রাণ পায়নি। থাকেন আজমপুরে। লিপি বলেছেন সকাল থেকে সে কিছুই খায়নি তাই ক্ষুধার জালায় এসেছেন ভিক্ষা করতে কিন্তু ভিক্ষা দেয়ার মত মানুষ নেই বাজারে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহের কাজ চলছে, তাদের নিকট সরকারী ত্রাণ সামগ্রী পৌছে যাবে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com