দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭০ হয়েছে আর আখাউড়া উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে পনের জন। মৃতের সংখ্যা একজন এবং সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চৌদ্দ জন। বর্তমানে আখাউড়া উপজেলা করোনামুক্ত হলেও এই মহামারি রোধে সারাদেশের মত আখাউড়ায় লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় কতটা স্বাস্থ্য সচেতন আমাদের আখাউড়া উপজেলার ছিন্নমূল, পথশিশু ও ভিক্ষারত শিশু ও ভাসমানরা?
খোজ নিয়ে জানাগেছে, লকডাউনের কারণে ভিক্ষারত অনেক বাবা, মা ও তাদের কোলে থাকা বিভিন্ন বয়সী শিশু। পথশিশু, ভাসমান মানসিক রোগী, ভিক্ষুকদের স্থান পরিবর্তন হয়েছে। আগে বাজার, মাজার ও স্টেশন এলাকায় বিচরণ ছিল তাদের। এসব স্থানে মানুষ সমাগম না থাকায় খাবার জোগাড় করতে তারা পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরছেন। বাড়িঘর, দোকান, বাজার হাটে তাদের অবাধ বিচরণ। তাদের মধ্যে নেই কোনো করোনা সচেতনতা। এই ধরণের অসচেনতার জন্য তারা আক্রান্ত হলে পুনরায় আখাউড়ায় ছড়িয়ে পড়বে করোনা ভাইরাস।
এ ব্যাপারে কথা হয় ভিক্ষারত মিনু বেগম নামে এক মায়ের সাথে।মুখে কুড়িয়ে পাওয়া একটি মাস্ক আছে কিন্তু সে এখনো জানেনা করোনাভাইরাস কী? কথা হয়েছে পারভেজ ও মরিয়মসহ কয়েকজন পথশিশুর সাথে। তারা রেলস্টেশনে থাকতো। এখন আখাউড়া সড়ক বাজার এলাকায় ভিক্ষা করে। সড়ক বাজারের এক ময়লার ঝুড়ি থেকে আধা পচা আম কুড়িয়ে খাচ্ছে। এসময় করোনা নিয়ে প্রশ্ন করতেই দৌড় দিয়ে চলে যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের অঘোষিত গাড়ি পাকিং এলাকায়।
সেখানেই কথা হয় ৯ বছর বয়সী জান্নাত নামক এক ভাসমান শিশুর সাথে। ২ বছরের শিশু বোনকে কোলে নিয়ে সেও ভিক্ষা করছে বাজারে। করোনা ভাইরাস নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই বলে, ‘আমি জানি না।’ কথা হয় ৭ বছর বয়সী মেরাজের সাথে।সে বন্ধুদের সাথে ভিক্ষা করে আখাউড়া পৌর শহরে। করোনাভাইরাস নিয়ে প্রশ্ন করতেই সে ছুটতে ছুটতে জানায়, এগুলো তাদের ধরবে না।
এদের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে নানা বয়সের ছিন্নমূল ভিক্ষারত পথশিশু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনকি তাদের মাধ্যমে নিজ বাবা-মা, বন্ধু ও ছোট ভাই-বোন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ফেলে দেওয়ার মতো নয়। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com