কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির আখাউড়া তন্তর অফিসে কোনো সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকছে না। আজ রোববার বিদ্যুত বিল জমা নিতে মানুষের উপচে পড়া ভীড় ও হুড়োহুড়ির ঘটনা ঘটেছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকার জনমনে।
সরেজমিন খোজ নেয়ার সময় দেখাগেছে আজ রোববার সকালে গ্রাহকরা একেঅপরের গা ঘেষে এবং হুড়োহুড়ি করে বিদ্যুত বিল জমা দিচ্ছে। গ্রাহকদের উপড়ে পড়া ভীড় দেখে সাধারন জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
তখন পল্লী বিদ্যুতের সচেতন কিছু গ্রাহক জানায়, বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা করে বিল দিতে গ্রাহকদের ডাকা হয়। সে সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে বলে ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিল দিতে গেলে সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি
স্থানীয় ঘোলখার গ্রামের লিটন খন্দকার জানায়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত দুই মাস বিদ্যুৎ বিল জমা নেয়া হয়নি ধরখার ইউনিয়নের তন্তর অফিসে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গত দুইদিন ধরে বিল আদায় করতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিল পৌছে দিয়েছে এবং পরিশোধ করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচারণা করেছেন।
আজ রোববার সকাল থেকে এই অফিসে বিদ্যুৎ বিল জমা নেওয়া হয়। এতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় হয়। মানুষ গাদাগাদি করে বিল জমা দিতে লাইনে দাড়ায় কিন্তু কর্তৃপক্ষ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কোন ব্যবস্থা না করে এই উপচে ভীড়ের মধ্যেই সারাদিন বিল গ্রহন করেছে।
তিনি আরো বলেন, কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে এই অফিসে কোনো সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। এতে করোনামুক্ত আখাউড়ার মানুষ পুনরায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
আখাউড়ায় ১৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ১৪ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আর একজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মারা যাওয়া মহিলার বাড়ি ধরখার ইউনিয়নের রাণীখার গ্রামে ছিল।
এ ব্যপারে কথা বলার জন্য কয়েকবার মোবাইলে কল দিলেও আখাউড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল বাশারের ফোন রিসিভ ।
।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com