প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক আয়োজন। নাম দেয়া হলো “আত্মীয় আড্ডা”। একেবারে আড্ডার মতো করেই আয়োজন। ডেকোরেটর থেকে ভাড়া করে আনা কাপড় বিছিয়ে বসলো আত্মীয়রা। আর অতিথি আত্মীয়দের বসার জায়গাটাও করা হলো “জলসা ঘর” এর মতো। তোষক, চাদর বিছিয়ে রাখা হলো বালিশ।
গত শনিবার সন্ধ্যায় আখাউড়ায় ‘আত্মীয়’ নামে একটি সংগঠন এমন আড্ডার আয়োজন করে। রাধানগরের কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ আড্ডার আয়োজন করা হয়। আত্মীয় মূলত রক্তদানের কাজ করে থাকে।
শুরুটাও একটু ব্যতিক্রম। অন্যসব আয়োজনের মতো অতিথিরা গিয়ে মঞ্চে বসলেন না। যাদের ডাকা হলো তারাই গিয়ে কথা বললেন, আবৃত্তি করে, গান গেয়ে আড্ডা মাতালেন। শুরুটা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গর্ব মনির ভাইকে দিয়ে। তার সুরেলা কণ্ঠে আধাঘন্টা যেন মুক্তো ঝরল। একের পর এক কবিতাবাণে যেন বিদ্ধ সবাই। পরের কথাতো বলেও বুঝানো নয়। আড্ডায় উপস্থিত কিংবা ফেসবুক লাইভে যারা ছিলেন মূল্যায়নটা তাদের উপরই ছেড়ে দেয়া ভালো। তবে আড্ডারত কেউ কেউ বলছিলেন, শিল্পীর কাছে বসে এমন মনমুগ্ধকর পরিবেশনা নাকি আর শুনা হয়নি। গাইছিলেন ডা. গুলজার হোসেন উজ্জল। পিজি হাসপাতালের এই চিকিৎসক এখন সংগীতাঙ্গেনও নাম কুড়াচ্ছেন। প্রায়ই আসেন টিভিতে। কথায় মাতিয়ে রেখে সবাইকে অবাক করে দিয়ে গাইতে শুরু করেন ডা. মো. শাহ আলম। খাগড়াছড়ির এই সিভিল সার্জনের পরিবেশনা ছিলো মনে রাখার মতো। ছন্দ বলে মিনিট পাঁচেক আড্ডা মাতিয়ে রাখেন স্বপন মিয়া। নবীনগরের এই সন্তানকে একটি শব্দ বললেই তা দিয়ে ছন্দ তৈরি করে শুনিয়েছেন। আড্ডায় কথা বলেছেন, কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, সংস্কৃতিকর্মী বাছির দুলাল, আত্মীয়ের সমন্বয়ক সমীর চক্রবর্তী, ছাত্রনেতা শাহবুদ্দিন বেগ সাবলু, মোবাশ্বের হোসেন প্রমুখ।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com