ত্রিপুরা মহারাজার নির্মান করা প্রায় হাজার বছরের পুরনো মন্দির আখাউড়া শ্রীশ্রী রাধামাধব আখড়া। বৃহস্পতিবার এখান থেকে শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথ টানা শুরু হয় বিকেল সাড়ে চারটায়। এখানকার রথ উৎসবের ঐতিহ্যও সুদীর্ঘ বছরের। উলোধ্বনী, শঙ্খ, ঢাক-ডোল আর কাশার তালে হাজারো পুন্যার্থী টানেন রথ। সদর রাস্তা ধরে রথ পৌঁছে দাসপাড়া দূর্গা মন্দিরে।
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল আনুষ্ঠানিকভাবে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমীনা আক্তার রেইনা, আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ রসুল আহমদ নিজামী, ওসি তদন্ত মোহাম্মদ আরিফুল আমিনও উপস্থিত ছিলেন। রাধামাধব আখড়া পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ জানান, রথযাত্রা উপলক্ষ্যে কির্তন ও প্রসাদের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আখাউড়ার এই মন্দিরসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫ মন্দির থেকে পৃথক পৃথকভাবে যাত্রা করে শ্রীশ্রীজগন্নাথ, বলরাম আর সুভদ্রার বিগ্রহবাহী রথ। জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে হয়েছে উৎসব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বর্ড়ার বাজার ইসকন মন্দির থেকে রথ বের হয়ে প্রায় পুরো শহর দক্ষিণ শেষে শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালী মন্দিরে এসে শেষ হবে। এই রথযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। জেলা শহরে রথ বের কালাইশ্রীপাড়া মন্দির থেকেও। নাসিরনগরের ফান্দাউক মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে বলভদ্র সেতু পার করে রথ পৌঁছে হবিগঞ্জের লাখাইয়ের মোরাকড়িতে। এই উপজেলার আরো দুইটি মন্দির থেকে যাত্রা করে রথ। এছাড়া কসবা উপজেলার তিন মন্দির, নবীনগরের দুই মন্দির, সরাইলের দুই মন্দির, বাঞ্ছারামপুরের এক ও বিজয়নগরের এক মন্দির থেকে রথ টানা হয়। আগামী ১২ জুলাই শুক্রবার হবে উল্টো রথ। শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে জেলার মন্দিরগুলোতে চলছে কির্তন ও প্রসাদ বিতরণ। রথ উৎসবে প্রতিটি মন্দিরে জোরদার ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com