আখাউড়া সীমান্তের মাদক ব্যবসার গডফাদার ও স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত মাইনুল ইসলাম ওরফে কাজল ভুইয়া গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার সিলেট জাফলং সীমান্ত থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যাসহ ১৯টি মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত কাজল ভুইয়া্ আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের আনু ভুইয়ার পুত্র।
জানাগেছে, গ্রেফতারকৃত মাদক সম্রাট কাজল ভুইয়া গত ১৩ মে তার স্ত্রী ডলি বেগমকে পেট্রলের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে সে সিআইডিকে জানিয়েছে। এ ঘটনায় ডলির ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে কাজলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে আত্মগোপন করলে খবর পেয়ে সিআইডি সোমবার সিলেটের জাফলং থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে খোজ নিয়ে জানাগেছে, কাজল ভুইয়া আখাউড়া সীমান্তে মাদক ব্যবসার সবচেয়ে বড় গডফাদার। প্রতিদিন কোটি টাকার ফেন্সিডিল, গাজা, ইয়াবা দেদারছে পাচার করেছে সে। তার মাদক ব্যবসায় শত শত লোক লেভার হিসাবে ব্যবহার হয়েছে। মাঝে মধ্যে তার লেভাররা মাদকসহ গ্রেফতার হলেও সে ছিল ধরা ছোয়ার বাইরে। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলেও তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সাহস পায়নি বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আবুল কাশেম ভুইয়ার ভাতিজা ও আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যবসায়ি পারভেজ ভুইয়া বড় ভাই হওয়ায় অনেকে তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায়নি। মাদক ব্যবসা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তারই প্রতিবেশী ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে তার বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে রক্তাক্ত করে কাজল ভুইয়া কিন্তু শিশুর পরিবার ভয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনি।
এদিকে তার গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। অনেকেই আনন্দ প্রকাশ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com