লিজা আক্তার (১৯। আখাউড়া আমোদাবাদ গ্রামের নুরুল ইসলামের কন্যা। গত ১১ এপ্রিল শনাক্ত হন তিনি করোনায় আক্রান্ত। আখাউড়ায় শনাক্ত হওয়া প্রথম করোনাভাইরাস রোগী এই লিজা।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা থেকে আগত তার বড় বোনের সংস্পর্শে লিজা আক্তার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ৮ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। টানা ২৮ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইসোলেশন থেকে সুস্থ্যতার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি।
করোনা জয় করে বাড়িতে ফিরে লিজা আক্তার জানায়, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে আজ শুক্রবার ৮ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ২৮দিন তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশনে ছিলেন। তিনবার রিপোর্ট রেগেটিভ আসার পর আজ শুক্রবার আইসোলেশন সংশ্লিষ্টরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছাসহ ছাড়পত্র দিয়ে সরকারী অ্যাম্বুলেন্সে বাড়িতে পাঠায়।
তিনি আরো বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর খুব ভয় পেয়েছিলাম, মৃত্যু নিশ্চিত মনে করেছিলাম। দুশ্চিন্তায় কয়েকদিন রাতে ঘুমাতে পারিনি। চোখের সামনে জীবনের স্মৃতিগুলো ভাসছিল। পরে এক সপ্তাহের মধ্যেই শরীর থেকে করোনার উপর্সগ চলে যায়। মনে শান্তি ফিরে আসে। মৃত্যু থেকে বেচে ফিরলাম এমন মনে হয়। ২৯ এপ্রিল করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে আপনজনদের দেখার জন্য মন ছটফট করতে থাকে। আজকে বাড়ি ফিরে মনে হচ্ছে বড় একটি যুদ্ধ জয় করে ফিরেছি।
তিনি আরো বলেন, আইসোলেশনে চিকিৎসকরা নিয়মিত তার খোজ খবর রেখেছেন। নিয়মিত ঔষধপত্র ও খাবার দিয়েছেন। আইসোলেশনের চিকিৎসা সেবায় আমি খুশি। এ জন্য শুকরিয়া আদায় করছি
তিনি আরো জানান, বাড়ি আসার সময় আরো ১৫ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছেন ডাক্তার। ঔষধপত্র লিখে দিয়েছেন নিয়মিত চিকিৎসা সচল রাখতে।
লিজা আক্তার আরো বলেন, তার বড় বোন করোনা শনাক্ত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ্য বাড়ি ফিরেছেন। তাদের পরিবারে আর কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা জানায়, লিজা আক্তার সুস্থ্য হওয়ার মধ্য দিয়ে আখাউড়া উপজেলা করোনামুক্ত হয়েছে। এটি ধরে রাখতে আখাউড়াবাসীকে সাবধানে থাকতে হবে এবং করোনা আইন মেনে চলতে হবে। অকারণে ঘর থেকে বের না হতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com