ব্রেকিং

x

বিদ্যুৎ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে বাংলাদেশ

শুক্রবার, ১৮ মে ২০১৮ | ৮:২৭ অপরাহ্ণ

বিদ্যুৎ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে বাংলাদেশ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামানের মোহন বাঁশিতে বাংলাদেশের  স্বাধীনতার যে সুর বেজে উঠেছিল, পরবর্তীতে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যে দিয়ে সেই সুর পূর্ণতা লাভ করেছিল। স্বাধীনতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সব দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের পথে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব দিক থেকে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।


বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগ দিনে ১০০০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। ২০০৫ সালে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৫০০০ মেগাওয়াট ।


আমাদের প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৪০০০ মেগাওয়াট হলেও পদ্ধতিগত লোকসান বাদ দিয়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে ১০৫০০ মেগাওয়াট। আমাদের দেশের বিদ্যুতের বর্তমান চাহিদা প্রায় ১৩০০০ মেগাওয়াট, যা আগামী এক বছরের মধ্যেই পূরণ করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত্য আমাদের দেশের ৮৫% লোক বিদ্যুতের আওতায় আছে। সমগ্র দেশবাসীর বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

সরকার ২০২১ সালে ২৪৫০০ মেগাওয়াট, ২০৩০ সালে ৩০০০০ মেগাওয়াট এবং ২০৪০ সালে ৫৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগ। মেগাপ্রকল্প গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হল,

১) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয় পাবনার রূপপুরে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ৩২তম পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ১২০০ মেগাওয়াটের দুইটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথমটি ২০২১ এবং দ্বিতীয়টি ২০২২ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

২) রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র: বিদেশী ঋণ ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় রামপালে নির্মিত হচ্ছে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুইটি প্রকল্প। রামপাল প্রকল্পের অর্থায়নের ৭০% ভারত এবং ৩০% বাংলাদেশ বহন করছে। ২ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প ২০২১ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

৩) মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প: বিদেশী অর্থায়নে কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০০ মেগাওয়াটের দুটি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পন্ন হবে।

৪) পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প: পটুয়াখালীর পায়রায় ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্যে ৪টি মেগা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। উক্ত প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার। বিদেশী কোম্পানির সহযোগিতায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এছাড়া বিদেশী সহযোগিতায় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানাধীন রয়েছে। তাছাড়া ১০০ মেগাওয়াটের সৌর বিদুৎ এবং ৫০ মেগাওয়াটের বায়ু চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখিত চলমান প্রকল্পগুলো ছাড়াও বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ আগামী ৫ বছরে ১৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার।

সুত্র: বাংলার আমরা

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!