ব্রেকিং

x

শীর্ষ মাদক বিক্রেতা বিল্লালের রাজকীয় বাড়ির বেডরোমে সুড়ঙ্গ পথ

আখাউড়ায় সুড়ঙ্গ পথের আন্ডারগ্রাউন্ড মাদক আস্থানা আবিস্কার

শনিবার, ০৯ জুন ২০১৮ | ৯:৫৬ অপরাহ্ণ

আখাউড়ায় সুড়ঙ্গ পথের আন্ডারগ্রাউন্ড মাদক আস্থানা আবিস্কার

আখাউড়ার শীর্ষ মাদক বিক্রেতা বিল্লাল হোসেনের রাজকীয় বাড়ির সুড়ঙ্গ পথের আন্ডারগ্রাউন্ডে মাদকের গোপন আস্থানা আবিস্কার করেছে পুলিশ। বেডরুমের ফ্লোরে ঢাকনা দেয়া গোপন সুড়ঙ্গ পথে যেতে হয় এই মাদকের আস্থানায়। আজ শনিবার মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানের সময় পুলিশ আখাউড়া মনিয়ন্দ জয়পুর গ্রামে এই গোপন আস্থানার সন্ধান পায়। সুড়ঙ্গ পথের আন্ডারগ্রাউন্ড রোমটি মাদকের গুদাম ঘর ও শীর্ষ মাদক বিক্রেতাদের গোপন বৈঠকখানা হিসাবে ব্যবহার হয়েছে। শুধু তাই নয় এই আলিশান বাড়ির সব রোম থেকে পালিয়ে যাওয়ার মত গোপন পথ রাখা হয়েছে।


আজ শনিবার বিকালে সরেজমিন খোজ নেয়ার সময় দেখাগেছে, আখাউড়ার শীর্ষ মাদক বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন মনিয়ন্দের জয়পুর গ্রামে রাজকীয় বাড়ি নির্মান করেছেন। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য অনুযায়ী কিছুদিন আগেও বিল্লাল হোসেন ছিল গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ। ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ব্যবসা করে কয়েক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি বনেগেছে বিল্লাল।


এদিকে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ আরিফুল আমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তরফদারের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি ও থানার এস আই ইউসুফসহ পুলিশের একটি বিশেষ টিম আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের রাজকীয় বাড়িতে তল্লাশী চালায়।

তিনি আরো বলেছেন, তল্লাশীর সময় একটি বেডরোমে রাস্তার ম্যানহোলের মত একটি ঢাকনা দেখে সন্দেহ হয়। ঢাকনা খুলার পর দেখাগেছে একটি গোপন সুড়ঙ্গ পথের মুখ। একজন পুলিশ সদস্যকে সুড়ঙ্গ পথে প্রবেশ করে ১০ গজ যেতেই পাওয়া যায় মাদকের আন্ডারগ্রাউন্ড আস্থানা। এই আস্থানা থেকে ইয়াবা ও ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়।

তিনি আরো জানিয়েছেন, সাজানো গোছানো এই গোপন আস্থানায় তিনটি বৈদ্যুতিক ফ্যান ও ২টি বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে। বাড়ির বারান্দা থেকে শুরু করে সব রোম থেকে বাইরে বের হওয়ার গোপন পথ রয়েছে তার এই আলিশান বাড়িতে।

তিনি বলেছেন, শীর্ষ মাদক বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন বা তার সহযোগী কাউকে পাওয়া যায়নি। টের পেয়ে পালিয়েছে। তবে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী শেফালী বেগম(৩০)কে পুলিশ ১৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ১৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, এই বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা নিয়মিত আসা যাওয়া করে। সীমান্তবর্তী এই গ্রাম থেকেই মাদক পাচার হয় বেশী। আখাউড়া শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নোয়াখাইল্লা সুমন, রিংকু, মজিবরসহ মাদকের অনেক গডফাদার এই বাড়িতে গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটায়।

স্থানীয় লোকজন জানায়, এই বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডসহ স্থানে স্থানে তল্লাশী করলে মাদকের অনেক গোপন তথ্য পাওয়া যাবে।

এ ব্যপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তরফদার জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। মাদক ব্যবসায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। গা ঢাকা দিয়েও কেউ বাজতে পারবে না।

তিনি আরো বলেছেন, শুধু সুড়ঙ্গ পথের আন্ডারগ্রাউন্ড নয়, প্রয়োজনে পাতাল থেকে তাদেরকে ধরে আনা হবে। আর যারা মাদক বিক্রেতাদের পক্ষে থানায় সুপারিশ করতে আসবে তাদেরকেও মাদক ব্যবসায় জেলে পাঠানো হবে।

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!