আখাউড়ায় তিন সন্তানের জনক রাসেল মিয়া (৪২) নামে এক পরকীয়া প্রেমিককে গ্রামবাসী থানায় সোর্পদ করেছে। শনিবার বিকালে আখাউড়া মোগড়া ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া গ্রামের লোকজন তাকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।
ছয়গড়িয়া গ্রামের মেম্বার সহিদ মিয়া ও রাসেলের স্ত্রী জানায়, আখাউড়া মোগড়া ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া গ্রামের ৪০ বছর বয়সী ৩ সন্তানের জনক বিবাহিত রাসেল মিয়া একই গ্রামের ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে যায়। এই পরকীয়া প্রেম থেকে সরে আসার জন্য তার স্ত্রী বার বার প্রতিবাদ করেও ব্যর্থ হয়। পরে তার স্ত্রী স্থানীয় ইউপি সদস্য সহিদ মিয়াসহ গ্রামের সরদার মাতব্বরদের জানায়। রাসেলকে পরকীয়া প্রেম থেকে সরে আসতে কয়েকবার গ্রামে সালিশি বৈঠকও হয়। পরে পরকীয়া প্রেমিকাকে সালিশানরা তার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। রাসেল তার প্রেমিকার কাছে ছুটে যায়। কৌশলে প্রেমিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে এসে উধাও হয়ে যায়। উধাও হওয়ার কিছুদিন পর গতকাল শনিবার ছয়গড়িয়া গ্রামের লোকজন এই প্রেমিক যুগলকে আটক করে পুনরায় সালিশি বৈঠক করে। এবারও সালিশানরা ব্যর্থ। রাসেল বলছে প্রেমিকাকে বিয়ে করতেই হবে অন্যদিকে প্রেমিকা বলছে তার সাথে রাসেল রাত কাটিয়েছে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাই রাসেল তাকে বিয়ে না করলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। পরে সালিশানরা ব্যর্থ হয়ে প্রেমিক যুগলকে থানায় সোর্পদ করে। আটককৃত রাসেল মিয়া ছয়গড়িয়া গ্রামের মঙ্গল মিয়ার পুত্র।
প্রেমিকার মা জানায়, রাসেল তার বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর শুরু করে। তার মেয়েকে ঘর থেকে জোর করে নিয়ে আসতে চায়। বাধা দিলে দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধামকি দেয়। ঘরের দরজা ও জানালায় দা দিয়ে কয়েকবার কুপিয়েছে এই রাসেল। গ্রামের অসহায় ও নিরীহ হওয়ায় তারা ভয়ে রাসেলকে কিছু বলতে পারেনি। মেয়ের মাও বাধ্য হয়ে সালিশানদের নিকট যায়। মেয়ের মা আরো বলেছে, মেয়েকে রাসেলের কবল থেকে রক্ষা করতে তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় কিন্তু সেখানেও রাসেল গিয়ে হাজির হয়। পরে মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার ওসি তদন্ত আরিফুল আমিন জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নারী নিযার্তন মামলা হয়েছে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com